দুবাইয়ে টস জিতলেই আগে ফিল্ডিং নিচ্ছে দলগুলো এবং বেশিরভাগ সময় সফলও হচ্ছে তারা। এশিয়া কাপ ফাইনালেও টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। কিন্তু টস ভাগ্যকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লঙ্কানরা জিতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন।

সুপার ফোরের তিন ম্যাচেই টস হেরেছিল ভারত। আফগানিস্তানও হেরেছে দুইবার। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা দুই দলই চারবার করে টস জিতে প্রত্যেকবারই পরে ব্যাট করে সফল তারা। সুপার ফোরের তিন ম্যাচেই টস ভাগ্য গেছে লঙ্কানদের পক্ষে। এছাড়া গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই মাঠে ১১ ম্যাচের ৯টিতেই জিতেছিল টসজয়ী দল।

চলতি এশিয়া কাপেও একই অবস্থা। দুবাইয়ে শুধু টস জেতার পর ম্যাচ হেরে গেছে শুধু হংকং আর আফগানিস্তান। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচেও শ্রীলঙ্কা টস জিতে হারায় পাকিস্তানকে। তারও আগে ভারতের কাছে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেও টস হারার পর খেলায় হেরেছিল পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কা আসরের যে একমাত্র হারটি হেরেছিল আফগানিস্তানের কাছে, সেটিতেও টস হারে তারা।

আরোও পড়ুন: সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী প্রথম জানাজা বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে

কুলাঘাটে বিএনপির বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

কিন্তু ফাইনালে সব হিসাবনিকাশ বদলে গেলো। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৭০ রান করার পর শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানকে থামায় ১৪৭ রানে। এই জয়ের পর চেন্নাই সুপার কিংসের ২০২১ সালের আইপিএল ফাইনালের কথা মনে করিয়ে দিলেন চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক দাসুন শানাকা।

ওইবার ফাইনাল হয়েছিল এই দুবাইয়ে, যেখানে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেও মহেন্দ্র সিং ধোনির দল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ২৭ রানে হারায়। ফাফ ডু প্লেসির ৮৬ রানের ঝড়ে চেন্নাই করেছিল ১৯২ রান। এরপর কলকাতা ৯১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু করলেও থামে ১৬৫ রানে।

শানাকা ম্যাচ শেষে বললেন, ‘আমি সবার আগে দর্শকদের ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা আমাদের অসাধারণ সমর্থন দিয়ে গেছে। এবং যারা দেশে আছে তারাও, আশা করি আমরা তাদের গর্বিত করেছি। ২০২১ সালের আইপিএলের দিকে ফিরে যাই, চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে ফাইনাল জিতেছিল। এই ছেলেরা কন্ডিশন ও পরিস্থিতি ভালোভাবে বোঝে।’